Friday, February 21, 2020

মৃত্যুর সময় মানুষের ঈমান নষ্টে শয়তানের কৌশল, ১. মৃত্যুর সময় শয়তানের প্রবঞ্চনাঃ ------------------------------------------ মৃত্যুর সেই কঠিন মুহূর্তে অভিশপ্ত শয়তান মৃত্যুমুখে পতিত ব্যাক্তির ঈমান ধংসের প্রয়াসে লিপ্ত হয়। বড় জ্ঞানবান ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিরাও সেই কঠিন সময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরে। আল্লাহর রাসুল সাঃ আমাদের সে ব্যাপারে আগেইগেই সতর্ক করে দিয়েছেন যেন মৃত্যুর আগেই তার জন্য তৈরী হতে পারি। এ ধাপে এই প্রসংগে কোরআন, হাদীস থেকে প্রয়োজনীয় দলিল এনে আলোচনা করা হয়েছে। ২. ইমাম কুরতুবীর পরলোকগমন ও শয়তানের ধোঁকাঃ ------------------------------------------------------------------ ইমাম কুরতুবীর মৃত্যুর সময় ২জন শয়তান তার সামনে দাড়িয়ে ছিলো। একজন তাকে ইহুদীধর্ম ও অপরজন তাকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী হওয়ার আহবান করছিলো। প্রতিত্তুরে তিনি বলেছিলেন, তোরা আমাকে মৃত্যুকালীন পাঠ দিচ্ছিস? অথচ, আমি নিজ হাতে তিরমিযি শরীফ ও নাসাঈ শরীফে রাসুল সাঃ এর এ হাদীস লিপিবদ্ধ করেছি, “শয়তান তোমাদের কারো মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে উপস্থিত হয়ে প্ররোচনা দিয়ে বলে যে, তুমি ইহুদী হয়ে মরো, খ্রিষ্টান হয়ে মরো।“ ৩. শয়তানের মুকাবিলায় ফেরেশতাদের সহায়তা ও সুসংবাদঃ -------------------------------------------------------------------------- মৃত্যুর সেই কঠিন মুহূর্তেও আল্লাহ রব্বুল আলামিন মুমিন বান্দাকে একা ছেড়ে দেননা। ফেরেশতাদের পাঠিয়ে দেন যেন মৃত্যুযন্ত্রণায় ভোগা ব্যাক্তিটি ভয় না পায় এবং ঈমানের ওপর অবিচল থাকে। কিন্তু কিছু জিনিষ ফেরেশতা আসতে বিঘ্ন ঘটায়। যেমনঃ কুকুর, ছবি, জুনুবী অবস্থায় অযু ছাড়াই ঘুমানো ইত্যাদি। এ অবস্থায় মৃত্যু আসলে ফেরেশতা উপস্থিত হয়না। আর সেই কঠিন মুহূর্তে ফেরেশতাদের সাহায্য ও উপস্থিতি ব্যাতিত ঈমানের উপর মৃত্যুবরন করা অসম্ভপ্রায়। ৪. ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের মৃত্যুঘটনাঃ --------------------------------------------------- ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের মৃত্যুর সময় তাঁর ছেলে উপস্থিত ছিলেন। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এর কাছে শয়তান এসে বলে, হে আহমদ। তুমি তো আমাদের হাত থেকে বেচে গেলে। ইমাম আহমদ প্রতিত্তুরে বলেছিলেন, “লা বা’দ=এখনই না”। অর্থাৎ, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেউ শয়তানের ধোঁকা থেকে নিশ্চিন্ত হতে পারেনা। ৫. মৃত্যুর সময়ময় শয়তানের ধোকায় নিপতিত হওয়ার কারণঃ ---------------------------------------------------------------------------- এর বহু কারণ হতে পারে। তবে প্রধান কারণ, দূর্বল ঈমান। জীবিতাবস্থায় অনবরত গুনাহ ও একটি কারণ। গুনাহ থেকে বাচতে না পারা দূররবল ঈমানেরই পরিচায়ক। এসকল ব্যাক্তি মৃত্যুর কঠিন সময়ে ঈমানে অবিচল থাকতে না পেরে শয়তানের সুন্দর পাতানো ধোঁকায় নিপতিত হয়। ৬. মৃত্যুর সময় শয়তানের ধোকা থেকে হেফাযত থাকার আমলঃ ------------------------------------------------------------------------------ এক্ষেত্রে বইটিতে ৭টি তদবীর উল্লেখ করা হয়েছে, -ঈমান ও আমলের পূর্নতা ও পরিপক্কতা -ঈমানের উপর দৃঢ় ও বলবত থাকা -জুনুবী অবস্থায় না থাকা -দেহ, পোশাক ও বাসস্থান পাক রাখা(যেন ফেরেশতা আগমনে অসুবিধা না হয়) -পিতা-মাতার আনুগত্য করা -কালিমার তালকীন করা -মৃত্যু আসন্ন ব্যাক্তির নিকট কোরাআন তিলাওয়াত করা(বিশেষত ইয়াসিন)



Post By.
EasaTelecom
Admin: Sadat Hasan
+8801616342342

Friday, November 15, 2019